মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

দেশ বাঁচাতে প্রয়োজন ৩১ দফা বাস্তবায়ন: চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত

আওয়ামী দুঃশাসনে ভেঙ্গে পড়া রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়ন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনে ভেঙে পড়া রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নই হতে পারে একমাত্র পথ। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে রাজনীতি তৃণমূলে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, সেই ধারারই ধারক দেশনায়ক তারেক রহমান। শহীদ জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচির ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজ আমরা যে ৩১ দফা নিয়ে এগোচ্ছি তা একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের রূপরেখা।

তিনি শনিবার (৩১ মে) বিকেলে কাজীর দেউরী আলমাস সিনেমা সংলগ্ন গুলশান কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজের সাবেক ছাত্রদল ফোরামের দুঃস্থ ও এতিমদের মাঝে খাদ্য বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

আইনের শাসন ও ভোটাধিকারের প্রশ্নে মেয়র বলেন, এই ৩১ দফার লক্ষ্য এমন একটি বাংলাদেশ গড়া, যেখানে মানবাধিকার থাকবে, আইনের শাসন থাকবে, কথা বলার অধিকার থাকবে, এবং নাগরিকদের ভোটাধিকার থাকবে। আমরা এমন একটি সমাজ চাই, যেখানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সবার অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

তরুণদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, আপনারা শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের জন্য দোয়া করবেন। আমরা সবাই মিলে একটি দুর্নীতিমুক্ত, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই। শহীদ জিয়ার তিনটি খাত কৃষি, গার্মেন্টস ও মানবসম্পদ এখনো আমাদের অর্থনীতির মূলভিত্তি। এসব খাতকে শক্তিশালী করে আমরা দেশকে অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবো।

বর্তমান সংকট প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আজ বাংলাদেশ গভীর সংকটে। এই সংকট থেকে উত্তরণে আমাদের প্রয়োজন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়া। শহীদ জিয়া রাজনীতিতে সততার যে উদাহরণ রেখে গেছেন তা আজকের সময়েও প্রাসঙ্গিক। তিনি বলেছিলেন, ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়’। আজ সেই কথাগুলোর প্রাসঙ্গিকতা আরও স্পষ্ট।

তিনি আরও বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সবসময় বলেছেন, ‘এই বাংলাদেশই আমার শেষ ঠিকানা’। তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমার অধিকার, আমার দেশ, সবার ওপরে বাংলাদেশ’। এখন নানা ষড়যন্ত্র চলছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, কিন্তু আমাদের শপথ নিতে হবে দেশের স্বার্থ সবার আগে।

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ এনে মেয়র বলেন, গত ১৬ বছরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। উল্টো বিভিন্নভাবে তাঁর অবদান বিকৃত করা হয়েছে। এখন আমাদের কাজ হলো সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের সামনে।

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, কাজী বেলাল উদ্দীন, হারুন জামান, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য মশিউল আলম স্বপন। বক্তব্য রাখেন কোতয়ালী থানার সাবেক সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, চকবাজার থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন, পাহাড়তলী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন জিয়া, মহানগর নেতা শাহ আলম, ডা. এস এম সরোয়ার আলম, শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, হেলাল চৌধুরী, শফিকুল আলম, শফিক আহমেদ, আলমগীর নুর, আরিফ মেহেদী, আমান উল্লাহ আমান, হাসান উসমান, আবু ফয়েজ, বেলাল উদ্দীন চৌধুরী, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আবু বক্কর শিকদার, মহসিন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ইয়াকুব আলী সিফাত ও এড. জসিম উদ্দীন হিমেলের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক নেতা মহসিন কবির আপেল, আলিফ উদ্দীন রুবেল, চকবাজার থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব সরোয়ার আলম, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দীন সাহেদ, সামিয়াত আমিন জিসান, সালা উদ্দীন কাদের আসাদ, মহসিন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সি. যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ ইউনুছ, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আমজাদ হোসেন শাকিল, দিদার হোসেন, ইমাম হোসেন আবির, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সাবেক নেতা রমিজ উদ্দীন, শহিদুল্লাহ ফয়সাল, সায়মন, রাজু, নুরুল কবির, মহসিন কলেজের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল কবির, জুনায়েদ আহমেদ রাসেল, মো. তারেক, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক- শাফায়েত নুরী সিজ্জি, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বোরহানুল হক, সাইফুল করিম, শরিফুল ইসলাম আবির, শোয়াইব, আরিফ, ইমরান, আরাফাত, তারেক, মানিক, রাকিব, মহসিন কলেজ ছাত্রদল নেতা নুর নবী বাদশা, মোজাম্মেল হক, জাহিদুল আলম প্রমূখ।