মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে বোয়ালখালী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির র‌্যালি ও সমাবেশ

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে বিএনপি ঘোষিত ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৪ জুন (শনিবার) বিকেলে বোয়ালখালী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাজী ইসহাক চৌধুরী ও সদস্য সচিব হামিদুল হক মান্নানের নেতৃত্বে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি উপজেলা সদর থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক পদক্ষিণ করে গোমদণ্ডি ফুলতলা এসে শেষ হয়।

র‌্যালি পরবর্তী এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হাজী ইসহাক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাবেক সদস্য সচিব হামিদুল হক মান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাজী ইসহাক চৌধুরী বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার, বাকস্বাধীনতা, সহ সকল গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে একদলীয় বাকশালী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল আওয়ামীলীগ। সেই ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা গঠনের দাবিতে গত ১৭বছর আমরা রাজপথে লড়াই করেছি। আওয়ামী দুর্নীতি, দু:শাসন ও লুটপাটের কারণে বিধ্বস্থ রাষ্ট্রের কাঠামোগুলো মেরামত করে একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ৩১ দফার রুপরেখা দিয়েছেন। সে ৩১দফার বার্তা পৌঁছে দিতে আমরা আপনাদের কাছে এসেছি। ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। বিএনপির এই ৩১ দফা দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই যে বাংলাদেশে কোনো লুটেরা, দুর্নীতিবাজ ও দখলবাজদের ঠাঁই হবে না, প্রতিটি মানুষের অধিকার হবে সমান।

বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব হামিদুল হক মান্নান বলেন, ৫ই মে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা হয়েছে যা দেখে দলের দু:সময়ের সর্বস্তরের নেতাকর্মীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ঘোষিত ঐ কমিটিতে দলের দু:সময়ের যোগ্য, ত্যাগী ও পরিশ্রমী নেতারা বাদ পড়েছেন। আর স্থান হয়েছে কিছু নিষ্ক্রিয়, অযোগ্য ও ভূইফোঁড় নেতার, যাদের বিগত ১৭ আন্দোলন সংগ্রামে কখনো রাজপথে দেখা যায়নি। তাই যারা দলের দায়িত্বে আছেন তাদের প্রতি আহবান, গত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে যারা রাজপথে থেকে রক্ত দিয়েছেন, শরীরের ঘাম ঝরিয়েছেন, মামলা খেয়েছেন, গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেছেন ঐ ধরণের ত্যাগী ও যোগ্য নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলা ও পৌরসভা কমিটিগুলো করবেন। এমন কোন কমিটি করবেন না যা আমাদের ত্যাগী নেতাকর্মীদের রক্তের সাথে বেঈমানি হয়। এসি রুমে বসে কমিটি দেওয়া যায় তবে সে কমিটি কাগজের কমিটি হয়, রাজপথের কমিটি হয়না। নিজেদের অযোগ্য লোক দিয়ে কমিটি করা যাবে কিন্তু তারা সংগঠনকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে পারবেনা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আজম খান, এস. এম সেলিম, আক্কাস খান, ইকবাল পাশা, আবু ছিদ্দিক, আরিফ চৌধুরী ছোটন, ইঞ্জিনিয়ার এস.এম তারেক, ওয়াহিদুল আলম,এম. কপিল উদ্দিন, আব্দুল করিম, শেখ মনির উদ্দিন, মো.আবছার উদ্দিন, মো.কপিল, সোলায়মান মেম্বার, মো. ইউছুপ, শওকত আলী, আবুল বশর, সাইফুদ্দিন, নুরুল আবচার ফারুকী, মো. ইসমাইল, জানে আলম, মো. নজরুল, মো. খালেক, মো. সাজ্জাদ, মো. আব্দুল মান্নান মনা, সায়েম উদ্দিন টিটু, মহসিন খোকন, ইব্রাহীম চৌধুরী মানিক, মো. ইব্রাহীম প্রমুখ।