‘শিক্ষাবিদ শফিউল আলমের লেখায় বাঙালি সংস্কৃতিসহ গবেষণার নানা দিক সহস্র ধারায় উৎসারিত হয়েছে’
কক্সবাজারের গর্বের ধন সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ শফিউল আলম ছিলেন একজন বহুমুখি প্রতিভার অধিকারি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সহ সাহিত্য-সংস্কৃতি ও গবেষণায় এত বড় মাপের লোক হয়েও নিরহংকার, নির্লোভ মানুষটি বরাবরই থেকেছেন পর্দার আড়ালে। তিনি জাতির জন্য দুই হাত দিয়ে গেছেন। কিন্তু সে তুলনায় কী পেয়েছেন সে উত্তর খোঁজাই এখন দায়।
শনিবার (০৫ জুলাই) কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সভা কক্ষে কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমির ৫৩৬ তম সাহিত্য আড্ডা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, লোকজ গবেষক, সাংবাদিক মুহম্মদ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সাহিত্য আড্ডায় সদ্য প্রয়াত জেলার মুক্তিবুদ্ধি চর্চার এ মানুষটির জীবনালেখ্য নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বক্তাগণ এ কথা বলেন।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একাডেমির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, লেখক-গবেষক ও সাংবাদিক আজাদ মনসুর।
এসময় বক্তাগণ বলেন, শিক্ষাবিদ শফিউল আলম কোন দলীয় রাজনীতির লেজুরবৃত্তির সাথে জড়িত ছিলেন না। ছিলেন একজন শুদ্ধাচারী লেখক, তাঁর লেখনিতে বাঙালি সংস্কৃতিসহ গবেষণার নানা দিক সহস্র ধারায় উৎসারিত হয়েছে। তিনি মূলত শিক্ষাবিদ, গবেষক ও প্রবন্ধকার।
একাডেমির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছড়াকার জহির ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সাহিত্য আড্ডায় একাডেমির সাধারণ সম্পাদক, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক, গল্পকার সোহেল ইকবাল, উখিয়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, সাহিত্যিক অজিত দাশ, কবি মো. আমিরুদ্দিন, কবি মোহাম্মদ আবুল কাশেম, আবৃত্তিকার কল্লোল দে চৌধুরীসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
পরে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।