শফিউল আলম, রাউজান: সারা দেশের মতো প্রচন্ড তাপদাহ রাউজানে ও জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে । প্রচন্ড তাপদাহের রাউজান উপজেলা জুড়ে নেমে এসেছে অশ্বস্তি ।গরমের তীব্রতায় (৯ মে) শুক্রবার জুমার নামাজে আগত মুসল্লিদের হাঁসফাঁস করতে দেখা যায়।বৈদ্যুতিক পাঁখাও গরমকে ঠান্ডা করতে পারছেনা।
প্রকৃতিতে বেড়েই চলেছে গরম।টানা কয়েক দিনের প্রচন্ড তাপদাহ তপ্ত রোদ আর অসহনীয় গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষসহ প্রাণিকুলের।বৈশাখের প্রচণ্ড খরতাপ থেকে স্বস্তি পেতে উপজেলার পশ্চিম ডাবুয়া নিরুর টেকে নিচু ফসলী জমির খাদে জমে থাকা পানিতে গা ডুবিয়ে আছে মহিষের পাল।তপ্ত দুপুরে গরমে অতিষ্ট হয়ে মহিষের পাল পানিতে ডুবে থাকতে দেখা যায় ।
তাপমাত্রা কত ডিগ্রি চলমান তা জানা না গেলেও তীব্র গরমে মানুষ যে অতিষ্ট তা সহজে অনুমান করা যায়।শহরের চাইতে গ্রামে গরম কম বলে লোকে মূখে বলা বলি করা হতো।সেটি মানুষ আর বলছেনা।সমান গরম শহর গ্রাম সব স্থানে।আজ শুক্রবার গ্রামে প্রচন্ড গরমে কোন বাতাস না থাকায় গাছের একটি পাতাও নড়তে দেখা যায়নি।সড়কের পিচ ঢালাই থেকেও তাপ বের হচ্ছে।মানুষের পাশা পাশি পশু পাখি পর্যন্ত গরমে অসহায়।অসহনীয় গরমে ৯টি মহিষ প্রান রক্ষায় ডুবিয়ে আছে ময়লা পানিতে।গরমের অস্বস্তি রাউজান উপজেলা জুড়ে।জরুরী কাজ ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হবার সাহস করছেনা।গত ৪/৫দিন ধরে তীব্র গরমে মানুষের কষ্টের শেষ নাই।বৃদ্ব ও ছোট বাচ্চারা গরম সহ্য করতে পারেনা।এরই মাঝে বিদ্যুতের লোডশেডিং।সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কড়া সূর্যের তেজে যেন আগুনের হলকা ঝলসে পড়ে।দিনে-রাতে তীব্র ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অসহনীয় অবস্থা বিরাজ করছে জনজীবনে।খরতাপে খাল-বিল, পুকুর-দীঘি, জলাশয়সহ পানির উৎসগুলো শুকিয়ে গেছে।বিশেষ করে খড় স্রোত সর্তা ও ডাবুয়া খালে পানি নাই বললে চলে।নলকূপে উঠছে না পানি।বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটে দিশেহারা গ্রামের মানুষ।হঠাৎ তীব্র গরমে মৌসুমী বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি দেখা দিয়েছে।
এছাড়া বৃষ্টি বিহীন প্রচন্ড রোদে জ্বলছে গ্রামের জনপদ।তাপপ্রবাহ বাড়তে থাকলে জনজীবনে নেমে আসে অস্বস্তি।