মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২

রাউজানের পাহাড়ে বাণিজ্যক ভাবে ভিয়েতনামি মাল্টা চাষ

শফিউল আলম, রাউজান ঃ ইউটিউবে ভিয়েতনামি হলুদ মাল্টা চাষের পদ্ধতি দেখে দেশের মাটিতে এর চাষ করার আগ্রহ সৃষ্টি হয় ওমান প্রবাসী হামিদ তালুকদারের। দেশে এসে তার বাবা মো.হারুন সহ কৃষি অফিসের সহযোগিতায় তাদের ২ বিঘা খালি জমিতে চাষ শুরু করেন উন্নত জাতের হলুদ মাল্টার। বাবা ছেলের এই বাগান ৩ বছরে দেখছে সফলতার মুখ।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের এই বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে হলুদ রঙের মাল্টা। ৪০০টি গাছের প্রায় সবকটাতেই এবার ফলন এসেছে। ফলের ভরে নুয়ে পরেছে গাছ। জানা যায়, ২০২২ সালে শুরু করে এই পর্যন্ত তাদের খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ টাকা। প্রথম বছর মাল্টা হারভেস্ট করা হয়নি। গত বছর হতে বাণিজ্যিক ভাবে বিক্রি শুরু করেন। এবার প্রায় ৫ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করে আয়ের আশা করছেন এই বাগানের উদ্যোক্তারা।বাগানের উদ্যোক্তা হামিদ তালুকদার বলেন, সবুজ মাল্টা অনেকেই চাষ করেন। কিন্তু আমি ইউটিউবে দেখলাম বিদেশের হলুদ ভিয়েতনামি মাল্টার চাষ। ভাবলাম সবুজ মাল্টা হলে আমাদের দেশে হলুদটা কেন হবেনা। সেই থেকে এটা মাথায় গেঁথে যায়। বাবাসহ কাজিন মো.ইমরানকে নিয়ে কাজ শুরু করি এবং আমরা সফল হয়।অপর উদ্যোক্তা মো.ইমরান বলেন, বাজারে দেশের বাহির থেকে আসা ভিয়েতনামি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে সেখানে দেশে উৎপাদিত এই মাল্টা বিক্রি করছি ২৫০ টাকা দরে। আমাদের এই ফরমালিন মুক্ত মাল্টার বেশ চাহিদা রয়েছে। এই মাল্টা গুলো যেমন মিষ্টি তেমন রসালো।হামিদের বাবা মো.হারুন বলেন, দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে আমিও দেশে চলে আসি। ছেলে প্রবাস থেকে বাগান করার উদ্যোগ নেন। আমিও উৎসাহিত হয়ে এই বাগান করতে উদ্যোগ গ্রহণ করি। আমাদের বাগানে পরিবারের লোকজনের পাশাপাশি একজন শ্রমিক রেখেছি। যার বেতন ১২হাজার টাকা।একই বাগানে এই উদ্যোক্তারা চাষ করেছেন মিশ্র ফলের। যেখানে রয়েছে আম, কাঁঠাল, লিচু, পেঁয়ারা, পেঁপে, লেবু সহ নারিকেল গাছও। ফেসবুকে এই বাগানের ছবি দেখে ঘুরতে আসছেন দর্শনার্থীরা। নিজের হাতে গাছ থেকে ছিঁড়ে মাল্টার স্বাদ নিচ্ছেন তারা। যাওয়ার সময় হাতে করে বাগান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন সুস্বাদু এই ফল।
রাউজান কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আহমদ শাহ বলেন, রাউজানে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হারে সবুজ মাল্টা চাষ হয়েছে। কিন্তু সারা রাউজানে এই প্রথম বাণিজ্যক ভাবে ভিয়েতনামি হলুদ রঙের মাল্টার চাষ হয়েছে। এই মাল্টার স্বাদ অনেক মিষ্টি। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে তাদের পরামর্শ এবং সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে কেউ এমন বাগান করতে চাইলে কৃষি অফিস থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা করা হবে।

প্রধান খবর

নির্বাচিত খবর