দুই বাংলার জনপ্রিয় মুখ অভিনেত্রী ও মডেল রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। শুধু অভিনয় নয়, নাচে-গানেও বেশ পারদর্শী মিথিলা। পাশাপাশি উন্নয়নকর্মী হিসেবেও পরিচিত তিনি।
বাংলাদেশ এবং কলকাতায় চলচ্চিত্রে কাজ করার পাশাপাশি ব্র্যাক ইন্টারন্যাশানালের আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্টের প্রধান হিসাবে কর্মরত আছেন মিথিলা।
এদিকে মিথিলার ব্যক্তিজীবন নিয়েও আলোচনার কমতি নেই। বর্তমান স্বামী ওপার বাংলার পরিচালক সৃজিতের সঙ্গে নাকি ভালো নেই তিনি। সে কারণে দেশের মেয়ে দেশেই থাকছেন, এমনই গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে মিথিলাকে নিয়ে।
অবশ্য, ঢাকায় মিথিলার ব্যস্ততা কোন অংশে কম নয়। সদ্যই একটি রিয়েলিটি শো-এর বিচারকের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও সক্রিয় আছেন শিক্ষকতা ও গবেষণাতেও। ব্যক্তিজীবনে একমাত্র মেয়ে আয়রাকে দেখাশোনা করতেও ব্যস্ত তিনি।
সম্প্রতি মিথিলাকে একটি ফটোসেশনে তাকে দেখা যায় ‘দ্রৌপদীর শাড়ি’র থিমে।
বলে রাখা ভালো, মহাভারতের কাহিনির প্রেক্ষাপটে কবি বুদ্ধদেব বসু লিখেছিলেন ‘দ্রৌপদীর শাড়ি’। রাজসভায় সকলের সামনে দ্রৌপদী নামে এক নারীর বস্ত্রহরণের চেষ্টা করেন এক রাজা। সে সময় ঐশ্বরিক ক্ষমতায় দ্রৌপদীর সম্মান রক্ষার্থে শত শত বস্ত্র আবির্ভূত হয়। সে বস্ত্র ছিল মূলত শাড়ি।
মহাভারত ও বুদ্ধদেবের সেই কবিতার দ্রৌপদী হয়েই এবার নিজেকে ধরা দিলেন মিথিলা। বলা বাহুল্য, মিথিলার এই লুকে ফুটে ওঠে পুরো একটা ট্র্যাডিশনাল ভাইব।
সামাজিক মাধ্যমে মিথিলার এই নতুন ফটোশুটও ভাইরাল। কমলা রঙের সুতি শাড়ি, লাইট মেকআপ, হাতে বালা-পলায় যেন সেই কাল্পনিক দ্রৌপদী হয়েই উঠলেন মিথিলা। এছাড়াও খোলা আঁচল, স্লিভলেস ব্লাউজে মোহনীয় লুকে ভক্তদের মাঝে রীতিমতো ঝড়- মুগ্ধতা তোলেন তিনি। বলতেই হয়, তার চিরচেনা আনমোনা চাহনিতে পুরুষের হৃদয়ে ধড়ফড়ানি হওয়ারও উপক্রম।
মিথিলার এই ছবি প্রকাশ করার সময় এক নেটিজেন বুদ্ধদেবের ‘দ্রৌপদীর শাড়ি’ কবিতার পঙ্কতিও তুলে দেন খানিকটা। যেমন- ‘রোদ্দুরের আঙুলে আঁকা মেঘের চেরা, হঠাৎ খুলে দিলো স্মৃতির অন্তহীন ফিতে; এমনি এক মেঘলা দিন, সীমান্তের শাসনহীন।’
তবে খোলামেলা শাড়িতে মিথিলার আবর্তন নতুন কিছু না। নেটিজেনরা তার রূপের প্রশংসায় মাতলেও অনেকে ঈষৎ সমালোচনাও করেছেন।
