মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

জিয়াউর রহমান জাতিকে আশার আলো দেখিয়েছিলেন: চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত

১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা সারা জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিকামী জনতা মরণপণ যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যখন অন্ধকার গ্রাস করেছিল, তখন জিয়াউর রহমান জাতিকে আশার আলো দেখিয়েছিলেন। তিনি ক্ষমতায় এসে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে কৃষি বিপ্লব, শিল্পায়ন, খাল খনন কর্মসূচিসহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করেছিলেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি লাভ করেছিল এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক নতুন পরিচিতি লাভ করেছিল।

তিনি শনিবার (৩১ মে) বিকেলে নগরীর চকবাজার ধনিরপুলস্থ ফালাহ গাজী জামে মসজিদে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে চকবাজার, বাকলিয়া ও কোতোয়ালি থানা যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও এতিমদের মাঝে খাদ্য বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন নির্লোভ, সৎ ও দেশপ্রেমিক নেতা। তিনি সবসময় জনগণের কল্যাণের কথা ভাবতেন। তাঁর “বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ” এর দর্শন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন এবং দেশকে একটি গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে এনেছিলেন।

ডা. শাহাদাত বলেন, ১৯৮১ সালে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে তিনি নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন। তাঁর এই শাহাদাত জাতি হিসেবে আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর মৃত্যুতে দেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়েছিল। আজকের এই দিনে আমরা শহীদ জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং তাঁর স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার করি। তাঁর আদর্শকে বুকে ধারণ করে একটি সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আমরা বদ্ধপরিকর।

এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, মহানগর যুবদল নেতা নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, কামাল উদ্দিন, জিয়াউল হক মিন্টু, মো. আলাউদ্দিন, বাকলিয়া থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন লেদু, চকবাজার থানা যুবদলের সাবেক আহবায়ক মো. সেলিম, সদস্য সচিব মো. মুসা, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব মো. হাসান, যুবদল নেতা মো. সোহেল, মো. জাবেদ, সাদ্দামুল হক, শফিউল বশর সাজু, মো. রায়হান প্রমূখ।