আগে ব্যাট করলে যা, পরে ব্যাট করলেও তা। বাংলাদেশ দল নিজেদের হার এড়াতে পারেনি। প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তানের করা ২০১ রান তাড়া করে জিততে পারেনি। এবার নিজেরা আগে ব্যাট করে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের ৬ উইকেটে সর্বোচ্চ ১৯৬ রান করেও জিততে পারেনি। হেরেছে ৭ উইকেটে। মোহাম্মদ হারিসের অপরাজিত ১০৭ রানে পাকিস্তান সেই রান টপকে যায় হেসেখেলে ১৭.২ ওভারে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ হলো।
টস হেরে এবার ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৯৬ রান করে। কিন্তু তারা যেভাবে শুরু করেছিল, তাতে করে এই রান আরও বেশি হওয়ার কথা ছিল। কারণ তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমনের উদ্বোধনী জুটিতেই ১০.৪ ওভারে ১১০ রান এনে দিয়েছিলেন। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে বাংলাদেশের পঞ্চমবারের মতো উদ্বোধনী জুটিতে শতরান। এ রকম অবস্থায় যেখানে দলের সংগ্রহ ২০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা, সেখানে বাকি ৯.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান যোগ হয়।
৩ বলের ব্যবধানে প্রথমে তানজিদ তামিম ৩২ বলে ৩টি করে চার ও ছয় মেরে ৪২, পরে পারভেজ ইমন ৩৪ বলে ৪ ছক্কা ও ৭ চারে ৬৪ রান করে আউট হওয়ার পর আর কেউ সেভাবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয় ১৮ বল করে খেলে যথাক্রমে ২২ ও ২৫ রান করেন। শেষের দিকে জাকের আলী ১টি করে চার ও ছয় মেরে ৯ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। আব্বাস আফ্রিদী ২৬ ও হাসান আলী ৩৮ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
আগের দুই ম্যাচের মতো শেষ ম্যাচেও বাংলাদেশের বোলাররা শুরুতেই পাকিস্তানের ইনিংসে আঘাত হেনেছিলেন। ইনিংসের প্রথম ওভারেই মিরাজ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আগের ম্যাচের অভিষক হওয়া ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানকে। কিন্তু এই শেষ। বোলাররা পরে আর পারেননি পাকিস্তানের ব্যাটারদের লাগাম টেনে ধরতে। ওয়ান ডাউনে নামে ম্যাচের সেরা উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ হারিস ৪৬ বলে ৭ ছক্কা ও ৮ চারে অপরাজিত ১০৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে সহজ জয় এনে দেন। তিনি ২৫ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করার পর সেটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেন ৪৫ বলে। তিনি ছাড়া ওপেনার সিয়াম আইয়ুব ৪৫, হাসান নাওয়াজ ১৬ রান করেন। মিরাজ ২৬ রানে নেন ২ উইকেট।