মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

হালদার ডিম থেকে উৎপাদিত রেনু দিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকার মাছ উৎপাদিত হবে

শফিউল আলম, রাউজান ঃ ১৪হাজার ৭শত কেজি ডিম থেকে ৩শত ৫০ কেজি রেনু উৎপাদন । প্রতি কেজি রেনু ১লাখ টাকা করে ৩শত ৫০ কেজি রেনু ৩ কোটি ৫০লাখ বিক্রয় হবে। ৩শত ৫০ কেজি রেনু থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার মাছ উৎপাদন হবে। প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে গত ৩০ মে দিবাগত রাতে ডিম সংগ্রহকারীরা এবার ১ হাজার ৭শত কেজি ডিম সংগ্রহ করেন । প্রতি ৪০ কেজি ডিম থেকে এক কেজি রেনু উৎপাদন হবে। হালদা নদী থেকে মা মাছের ডিম সংগ্রহ করার পর রাউজানের গহিরা মোবারক খীল, পশ্চিম বিনাজুরী আই,ডি, এফ,এ হ্যচারী, হাটহাজারীর মদুনাঘাট, শাহ মাদারী, মাছুয়া ঘোনা হ্যচারীতে ও নদীর তীরে খনন করা মাটির কুয়ায় ডিম ফুটানোর পর ডিম থেকে রেনু উৎপাদন করেন ডিম সংগ্রহক্রাীরা । হালদার মা মাছের ডিম থেকে উৎপাদিত রেনু চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকা ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ চাষী, মৎসজীবি, হ্যচারীর মালিক, মৎস প্রকল্পের মালিকরা এসে ক্রয় করে নিয়ে যায় । হ্যচারীর মালিকরা রেনু থেকে পোনা উৎপাদন করে বিক্রয় করেন। পুকুর জলাশয়, দিঘি, মৎস প্রকল্পে, হ্যচারীতে মাছ চাষ করে কয়েক হাজারা কোটি টাকার মাছ উৎপাদন হবে হালদার মা মাছের রেনু থেকে । হালদায় গত ২৭ মে ও ২৯ মে দফায় নমুনা ডিম ছাড়ার পর গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নদীতে জোয়ার ও উজান থেকে পাহাড়ী ঢলের শ্রোত নেমে আসে । প্রবল বর্ষন ও বজ্রপাত হয়। ঐ সময়ে নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ে । প্রবল বর্ষন ও বজ্রপাতকে উপেক্ষা করে রাউজান হাটহাজারী হালদা পাড়ের বাসিন্দ্বা ডিম সংগ্রহকারীরা নদীতে নৌকা ও জাল নিয়ে নেমে পড়েন । ৫শত ৫০ জন ডিম সংগ্রহকারী ২শতাধিক নৌকা নিয়ে নদী থেকে ডিম সংগ্রহ করেন । রাউজান হাটহাজারী ও আই,ডি এফ এর কর্মীরা নদী থেকে ১ হাজার ৭ শত কেজি ডিম সংগ্রহ করেন ।
রাউজান উপজেলা সিনিয়র মৎস অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন, হালদা নদী থেকে এবার ১৪ হাজার ৭শত কেজি ডিম সংগ্রহ করেন ডিম সংগ্রহকারীরা । ডিম থেকে উৎপদিত রেনুর পরিমাণ ৩শত ৫০ কেজি । প্রতি কেজি রেনু ১লাখ টাকায় বিক্রয় করা হবে । রেনুর সঠিক পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। রেনুর পরিমান নিরুপন ও রেনুর মুল্য নিয়ে বৈঠক করার পর সঠিকভাবে বলা যাবে ।