বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, তারুণ্যের শক্তি একটি জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ। তাদের কর্মোদ্যম, সৃজনশীলতা এবং সাহসিকতা জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তরুণদের সাহসী ভূমিকার কারণে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। বৈষম্যহীন এই নতুন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে তরুণরাই। তাদের হাত ধরেই আগামীর বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকার তাদের দমিয়ে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু আমাদের সন্তানরা স্বৈরাচারের গুলির সামনে অসীম সাহস নিয়ে বুক পেতে দিয়েছিল। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে তারা স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। তরুণদের স্বপ্ন এবং লক্ষ্যই আগামী দিনের দিশা। তাই তরুণদের শক্তি ও উদ্যমকে ইতিবাচক পথে পরিচালিত করা এবং রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার করা আমাদের দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার জনগণের ভোটের অধিকার, মতপ্রকাশের অধিকার সহ সকল গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছিল। পর পর তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তরুণ ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। তারা ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি অতী স্বত্তর নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা না করে, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা আন্দোলনে নামবো।
০২ মে (শুক্রবার) বিকেলে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ে আগামী ৯ই মে “কর্মসংস্থান ও বহুমাত্রিক শিল্পায়ন নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা” শীর্ষক সেমিনার এবং “১০ মে তারুণ্যর রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ” সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে তরুণসমাজ। তারুণ্য একটি প্রবল প্রাণশক্তি যা অফুরন্ত সম্ভাবনা ও বর্ণিল স্বপ্ন দ্বারা সবসময় উজ্জীবিত থাকে। তারাই আমাদের আগামী দিনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। সম্ভাবনাময় এ তরুণশক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দেশ ধাপে ধাপে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তরুণদের নিয়ে অনেক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। আগামী দিনে দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে আমরা তারুণের এই শক্তিকে কাজে লাগাবো।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক বেলায়েত হোসেন বুলুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জি. জমির উদ্দিন নাহিদ এর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সাবেক সহ-সভাপতি সেলিম রেজা, হারুন আল রশীদ, এন আই চৌধুরী মাসুম, হারুন অর রশিদ, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম টুটুল, এম আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার, ওয়াকিল হোসেন বগা, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, আকতার হোসেন, দিদার হোসেন, আব্দুল মান্নান, সাজ্জাদ হোসেন, জাকির হোসেন, এম এ হানিফ, মোখলেছুর রহমান, মোঃ হাসান, ইমরান হোসেন বাবলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম দিপু, রবিউল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আকবর হোসেন মানিক, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান জুয়েল, অর্থ সম্পাদক মোঃ জসিম, সহ-দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সহ-মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক মোঃ কালাম, সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ বাকের, সহ-পরিবার বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন মিশু, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আনিসুজ্জামান পাটোয়ারী টুটুল, এন মোহাম্মদ রিমন, আনোয়ারুল কাফি মুন্না, হাসান মাহমুদ, রিয়াজ উদ্দিন রাজু, দুলাল মিয়া, আকতার হোসেন বাবলু, আলতাফ হোসেন, শফিউল আলম শফি, ইউসুফ সুমন, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নোমান সিকদার সোহাগ, আবদুল্লাহ আল হাসান সোনামানিক, মো. শহীদুজ্জামান, তৌসিফ চৌধুরী, মিজান হোসাইন, শামীম আহমেদ, কাজী মহিউদ্দিন, মহিউদ্দিন রুবেল, মুরাদুল আলম মুরাদ, মোঃ বিল্লাল হোসেন, ইসকান্দার মির্জা, জহুরুল ইসলাম জহির প্রমুখ।