শফিউল আলম, রাউজানঃ রাউজানের পশ্চিম গহিরা থেকে মোটর সাইকেলযোগে হাটহাজারী যাওয়ার পথে এক ডিশ ব্যবসায়ীসহ দুইজনকে আটকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী। খবর পেয়ে আহতদের স্ত্রী ও বোন ঘটনাস্থলে গেলে তারাও হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে সন্ত্রাসীরা ভুক্তভোগীদের থানায় সোপর্দ করলেও পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
আহতরা হলেন রাউজান পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গহিরা এলাকার মৃত আলী হোসেনের পুত্র স্থানীয় ডিশ ব্যবসায়ী আবদুল হালিম (৪২), ও একই এলাকার মো. আকতার (৫২)। আহত আক্তার বলেন, শুক্রবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ব্যবসায়িক কাজে মোটরসাইকে লযোগে হাটহাজারী যাচ্ছিলাম আমি ও আবদুল হালিম ও । পথে সত্তারঘাট ব্রিজ এলাকায় তাদের গতিরোধ করে পশ্চিম গহিরার সোহেল, রাশেদ, জসিম, মহিউদ্দীন, রনি ও সীমান্ত বড়ুয়া। এরপর লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে আমাদেরকে। আকতারকে মুখে ঘুষি ও লাঠির আঘাত করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি জানান, এসময় হামলাকারীরা আবদুল হালিমের মোটরসাইকেল, মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। দুজনকে কয়েক ঘন্টা আটকে রাখে স্থানীয় একটি বালুর মহাল অফিসে। খবর পেয়ে আবদুল হালিমের স্ত্রী সুমি আকতার ও বোন রুবি আকতার সেখানে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। সুমিকে চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে ফেলে মারধর করা হয়।ঘটনাটি জানাজানি হলে আহতদের থানায় তুলে দেয় সন্ত্রাসীরা।
ভুক্তভোগী সুমি আক্তার দাবি করেন, পুলিশ মামলা না নিয়ে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভর্তি হতে পরামর্শ দেন। এরপর তারা রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে নিরাপত্তার জন্য হাটহাজারী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।ভুক্তভোগী আবদুল হালিম অভিযোগ করে বলেন, প্রথমে তারা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আমার কাছে। ফয়েজ, দুই রাশেদ ও জসিম মিলে আমাকে হুমকি দেয় ডিশ ব্যবসা তাদের হাতে তুলে দিতে।এ বিষয়ে থানায় জানতে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূইয়া সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ছুটিতে আছেন জানিয়ে বলেন ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
