সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে মহেশখালীতে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে।
বুধবার (১৮ জুন) দুপুর থেকে নগরীর শিল্পকারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শফিউল আজম খান বলেন, ‘মহেশখালীতে এলএনজিবাহী জাহাজ থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চট্টগ্রামে গ্যাসের চাপ মারাত্মকভাবে কমে গেছে। শিল্পকারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে এবং পর্যায়ক্রমে আবাসিক এলাকাতেও সরবরাহ বিঘ্নিত হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাগর শান্ত না হওয়া পর্যন্ত এলএনজিবাহী বিশেষায়িত জাহাজ থেকে গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হবে না। যেখানে দৈনিক ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ হতো, সেখানে গতকাল সন্ধ্যায় মাত্র ১৯৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হয়েছে। সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হলে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস থাকবে না।’
বিজিএমইএ পরিচালক ও ক্লিফটন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে কারখানাগুলোতে গ্যাসের চাপ কমতে শুরু করে। বিকেলের পর গ্যাস ছিল না বললেই চলে। আকস্মিক এই সংকটে উৎপাদনে ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে।’
বিজিএমইএ’র আরেক পরিচালক রাকিবুল আলম চৌধুরী জানান, ‘গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় কর্ণফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, সাগর উত্তাল থাকায় বিশেষায়িত জাহাজ থেকে গ্যাস নেয়া যাচ্ছে না। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।’