মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি: মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের

চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ৪ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। সেইসঙ্গে ১০-১২ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সম্মেলন ঘোষণা করেছে দলটি।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর হাতিরপুলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয় গণসংহতি আন্দোলন।

জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ৪ জুলাই অভ্যুত্থানের যোদ্ধা এবং শহীদ পরিবার ও আহতদের সম্মেলন।, ৫ জুলাই গণসংহতি আন্দোলনের তরুণ জুলাই যোদ্ধাদের নতুন বাংলাদেশ ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় ও বিশেষ জাতীয় বর্ধিত সভা, ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদের স্মৃতিবিজড়িত রংপুর জেলায় জুলাই সমাবেশ, ২৫ জুলাই ঢাকায় জুলাই গণসমাবেশ, ১ আগস্ট শহীদ জুলফিকার শাকিলের স্মৃতিবিজড়িত ঢাকার মিরপুরে জুলাই সমাবেশ, ৪ আগস্ট শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি। এছাড়া বিভিন্ন বন্ধু প্রতীম গণসংগঠসমূহ মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করবে।

সংবাদ সম্মেলনে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা গভীর পরিতাপ ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি দেশে এক ধরনের মব তৈরি করে হামলা, অবমাননা, নির্যাতনের সংস্কৃতি চালু হচ্ছে, এটা অত্যন্ত বিপদজনক। এর আগে সংখ্যায় কম এমন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ হয়েছে, মাজারে আক্রমণ হয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর আক্রমণ হয়েছে, বিভিন্ন ব্যক্তির ওপর আক্রমণ হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভ্যুত্থানের ১০ মাস অতিবাহিত হলেও এসব ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কার্যকর কোনো ভূমিকায় আমরা দেখতে পাইনি বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের উপস্থিতি থাকলেও নিষ্ক্রিয় দেখা গেছে। আমরা এরকম পরিস্থিতিতে সরকারের এবং আইনশৃঙ্খলা কাজে নিয়োজিত সব বাহিনীর কার্যকর ভূমিকা দেখতে চাই। শুধু বিবৃতি দিয়ে দায় সারলে চলবে না অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’

অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে ন্যায়বিচার দেখতে চান উল্লেখ করে সাকি বলেন, ‘বিচারের নামে কোনো প্রহসন কিংবা মব বিচার যাতে আর কোনোভাবেই চলতে না পারে এজন্য সরকারকে অবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’

গত সোমবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে এ বিষয়ে দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত না হলে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় না আনা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটার আরও সুযোগ তৈরি হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দিপক কুমার রায়, কেন্দ্রীয় সদস্য আলিফ দেওয়ান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা বাবন, জাতীয় পরিষদ সদস্য পপী রানী সরকার, তৌহিদুর রহমানসহ অনেকে।