পটিয়া থানার ওসি জায়েদ নূরকে অপসারণ করার দাবিতে আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ফের লাঠিপেটা করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এতে অন্তত ১১ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করছে বৈষম্যবিরোধীরা।
বুধবার (২ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এদিন (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে পটিয়া থানার সামনে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতাকর্মীরা। পুলিশ থানার প্রধান ফটক বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে থানার সামনে থেকে অবস্থানরতদের সরাতে পুলিশ লাঠিপেটা করে। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা থানার সামনে থেকে সরে ঢাকা-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পটিয়ার নেতা তালহা রহমান অভিযোগ করে জানান, সকালে তারা পটিয়া থানার সামনে অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে। এরপর তারা ওসিকে চাকরি থেকে অব্যাহতির একদফা দাবিতে ঢাকা-কক্সবাজার মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়ার পর্যন্ত তারা সড়ক ছাড়বেন না।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় সোপর্দ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করেছিল পুলিশ।
আহতরা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আশরাফুল ইসলাম তৌকির (২১), মো. নাদিম (২১), মো. আয়াস (১৬), মো. আকিল (১৮), মো. ইরফান উদ্দিন (১৮), তাসরিয়ান হাসান (১৮), মো. রায়হান উদ্দিন (২০), সাইফুল ইসলাম (১৭), জাহেদুল করিম শাহী (১৮), মুনতাসির আহমদ (১৭) ও সাইফুল ইসলাম (১৮)। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ নেতা দীপংকর দেকে আটক করে বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীরা। ওই ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় হস্তান্তর নিয়ে বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাগবিতণ্ডা হয়। পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে বৈষম্যবিরোধীদের লাঠিপেটা করে থানা কম্পাউন্ড থেকে বের করে দেয়।
খবর পেয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে সংগঠনটির আরও বেশ কিছু নেতাকর্মী থানার সামনে জড়ো হতে থাকে। রাতে থানার সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধীরা। ওসি ও সেকেন্ড অফিসারের প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
এদিকে বুধবার (০২ জুলাই) সকাল থেকে পটিয়া থানার সামনে অবস্থান নিতে থাকে বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তারা ওসি জায়েদ নূরসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দিতে লাঠিপেটা করে পুলিশ। এতে অন্তত ১১ জন আহত হয়। পরে ছত্রভঙ্গ হয়ে বৈষম্যবিরোধীরা ইন্দ্রপুল ভাইপাস এলাকার ঢাকা-কক্সবাজার মহাসড়কে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে বন্ধ হয়ে যায় মহাসড়কটি দিয়ে যান চলাচল।