মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার প্রস্তাব বিএনপির

ঐকমত্য কমিশনের সীমানা পুনর্নিধারণে আলাদা কমিশন করার প্রস্তাব নাকচ করেছে বিএনপিসহ বেশিরভাগ দল।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সংস্কারের বিষয়ে সর্বোচ্চ সহায়তা করছে বিএনপি। নির্বাচন যাতে বিলম্বিত না হয়, সেজন্য আলাদা কমিশনের পরিবর্তে আইন সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার প্রস্তাব দেন তিনি।

বুধবার (২ জুলাই) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে তিনি এই প্রস্তাব দেন।

দুই দিন মুলতবির পর এদিন সকাল ১১টায় শুরু হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার অষ্টম দিনের বৈঠক। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজের সভাপতিত্বে বৈঠকে যোগ দেন বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। শুরুতেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে রাখা হয় নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন ইস্যু। দিনের প্রথম ধাপে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা হয়।

ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সীমানা পুনর্নির্ধারণে আলাদা কমিশন করার প্রস্তাব নিয়ে বিপরীতমুখী অবস্থানে দেখা যায় বিভিন্ন দলকে।

সীমানা নির্ধারণে আলাদা কমিশনের পক্ষে অবস্থান জানায় জামায়াত। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, সীমানা নির্ধারণ নিয়ে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন এড়াতে অস্থায়ী কমিশন হলে ভালো হয়। তবে ঐকমত্যের স্বার্থে কমিটিতেও মত আছে জামায়াতের।

এদিকে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সাংবিধানিক এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি, রাষ্ট্রপতির নিয়োগ, উচ্চকক্ষের নির্বাচন প্রক্রিয়ার মতো বিষয়ে একাধিক দিন আলোচনা হলেও এখনো অমীমাংসিত রয়েছে। ঐকমত্য তৈরিতে প্রথম ধাপসহ ৫২টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে এরইমধ্যে।