মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু,কাপ্তাই(রাঙামাটি): নানা আমের জাতের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় পাহাড়ের আম্রপালী আম। যে আমটি দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও সুস্বাদু। এই আমের চাহিদাও বেশি।
কাপ্তাই উপজেলার হাট বাজার গুলোতে দেখা যাচ্ছে প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে আম্রপালী বিক্রয়। কয়েকদিনের মধ্যেই এই আমটি বিক্রয় শেষ হয়ে যাবে। তবে আম্রপালির পাশাপাশি বাজারে মিলছে রাংগুই, মল্লিকা, হাড়ি ভাঙা সহ বিভিন্ন জাতের আম। বর্তমানে স্থানীয় বিক্রেতারা এই আম বিক্রয় করে বেশ লাভবান হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। এ বছর পাহাড়ে আমের বেশ ভাল ফলন হওয়ায় ক্রেতারা বিপুল পরিমাণ আম সংগ্রহ করতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন।
কাপ্তাই উপজেলার বড়ইছড়ি, শীলছড়ি, নতুন বাজার, বারঘোনা রেশম বাগান এলাকা, চান্দিমা সিনেমা হল সহ বিভিন্ন বাজারের আম বিক্রেতারা জানায়, শহরের তুলনায় অনেক কম দামে কাপ্তাইয়ে মিলছে আম্রপালী জাতের আম। বিশেষ করে যেসব আম শহরে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রয় হয়, সেগুলো উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আবার অনেক বিক্রেতা রাংগুই আম ৩ কেজি ১০০ টাকায় বিক্রয় করতে দেখা গেছে। তুলনামুলক অন্যান্য বছরের তুলনায় আমের এবার ভাল ফলন হওয়ায় চাষী যেমন লাভবান হয়েছেন তেমনি অনেক সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে এই আম। সে সাথে ক্রেতারাও পছন্দের আম কিনতে পেরে অনেক খুশী। দেশীয় জাতের আমের পাশাপাশি বিদেশী জাতের যেমন ব্যানান ম্যাংগো, মিয়াজাকি জাতের আমও অনেকে বিক্রয় করেছেন বলে জানিয়েছেন।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইমরান আহমেদ জানান, পাহাড়ের এই আম্রপালি স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে। এছাড়া দেশী, বিদেশী বিভিন্ন জাতের আম চাষ করে কাপ্তাইয়ের স্থানীয় চাষীরা বেশ লাভবান হয়ে থাকে। কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে চাষীদের নানা ভাবে সহযোগীতা করা হয়ে থাকে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কাপ্তাইয়ে আমের ভাল ফলন হয়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ের এসব আমের কদর রয়েছে দেশজুড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, চাষী ও বিক্রেতারা এবারও বেশ লাভবান হবেন।