হার দিয়ে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় টাইগাররা। তাই তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি সিরিজ নির্ধারণী। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বড় পুঁজি পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিসের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ২৮৬ রানের টার্গেট দিয়েছে লঙ্কানরা।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) পাল্লেকেলেতে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। দলীয় ১৩ রানে ৬ বলে ১ রান করা নিশান মাদুশকাকে সাজঘরে ফেরান তিনি।
এরপর ক্রিজে আসা কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন পাথুম নিশাঙ্কা। ৫৬ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। ৪৭ বলে ৩৫ রান করা নিশাঙ্কাকে আউট করে বাংলাদশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন তানভীর ইসলাম।
এরপর ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেননি কামিন্দু মেন্ডিস। ২০ বলে ১৬ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আউট হন তিনি। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেন কুশল। তাকে ভালো সঙ্গ দেন অধিনায়ক আসালাঙ্কা। দেখেশুনে খেলে রানের চাকা সচল রাখেন এই দুই ব্যাটার। ৬০ বলে ফিফটি পূরণ করেন আসালাঙ্কা।
অন্যদিকে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৯৫ বলে সেঞ্চুরিতে তুলে নেন কুশল মেন্ডিস। ওয়ানডেতে এটি তার ষষ্ঠ সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয়। আসালাঙ্কা ও কুশল মিলে ১২৪ রানের জুটি গড়েন।
দলীয় ২২৪ রানে ৬৮ বলে ৫৮ রান করে আউট হন আসালাঙ্কা। এরপর দ্রুতই তিন উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। জেনিথ লিয়ানাগে ১২, দুনিথ ওয়াল্লেগে ৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। আর ১১৪ বলে ১২৪ রান করে আউট হন কুশল।
শেষ দিকে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও দুষ্মন্থ চামিরার ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। হাসারাঙ্গা ১৪ বলে ১৮ ও চামিরা ৮ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে মিরাজ ও তাসকিন নেন ২টি করে উইকেট।