চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ সম্মান শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস মঙ্গলবার (১ জুলাই) একযোগে শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন।
সকাল সাড়ে দশটায় উপ-উপাচার্যদ্বয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগ, বাংলা বিভাগ, চারুকলা ইনস্টিটিউট, ফাইন্যান্স বিভাগ এবং ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন।
উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান নবীন শিক্ষার্থীদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে আন্তরিক শুভেচ্ছা, স্বাগত ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, অত্যন্ত কঠিন ও প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার যে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছে, তা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। সময়ের প্রতি নিষ্ঠাবান থেকে সঠিক সময়ে ক্লাস ও পরীক্ষা শেষ করে নিজেদের আদর্শ, মানবিক ও জ্ঞানসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ ব্যয় হয়, যা যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে পরিবার, সমাজ ও দেশের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে হবে। বিভাগীয় সভাপতি ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, অর্ডিন্যান্স ও নিয়মনীতি সম্পর্কে জানাতে সেমিনারের আয়োজন করা উচিত।
উপ-উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে অর্জন, সৃজন ও বিতরণের উর্বর ক্ষেত্র। এখানে জ্ঞানের কোনো সীমারেখা নেই। তবে পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও কিছু নেতিবাচক কার্যক্রমও বিদ্যমান। শিক্ষার্থীদের এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কোন পথে হাঁটবে। নেতিবাচক কার্যক্রম থেকে নিজেদের দূরে রেখে আন্তর্জাতিক মানের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। এরপর তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন শিক্ষার্থীদেরকে প্রকৃতির কোলে গড়ে ওঠা পাহাড়ঘেরা নান্দনিক সবুজ ক্যাম্পাসে স্বাগত ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলেই আজকের নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। এ নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষার্থীরা যে সুযোগ পেয়েছে, তা যথাযথভাবে কাজে লাগানোর জন্য তিনি আহ্বান জানান।
ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামসমূহে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন, বাংলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ, চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক তাসলিমা আকতার, ফাইন্যান্স বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নেছারুল করিম এবং ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের সভাপতি মো. আবু বকর সিদ্দিক।