প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের উদ্যোগে ২৮ জুন (শনিবার) অনুষ্ঠিত হলো ‘হাউ টু বিল্ড এ স্টার্টআপ ইউজিং জেনারেটিভ এআই’ শীর্ষক একটি প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী সেমিনার। এই সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপক ও প্রধান বক্তা ছিলেন সুইডেনের এইচ অ্যান্ড এম গ্রুপ-এর ডেটা, এআই অ্যান্ড অ্যানালিটিক্স প্ল্যাটফর্মের পরিচালক ড. মিসবাহ উদ্দিন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক টুটন চন্দ্র মল্লিক। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানিয়া নূর, তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মুন্না, সহকারী অধ্যাপক সামিনা আলম, সহকারী অধ্যাপক কল্লোল দে, প্রভাষক সরিত ধর, আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকী, রাহুল চৌধুরী, সোমেন দত্ত, মনিষা দে, আবীর ধর, জয়নব বিনতে আহমেদ এবং ফারিয়া তাহসিন।
প্রধান বক্তা ড. মিসবাহ উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, আজকের জেনারেটিভ এআই কেবল ভবিষ্যতের প্রযুক্তি নয়, এটি বর্তমান বিশ্বে স্টার্টআপ নির্মাণের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। সঠিক ব্যবহার জানা থাকলে জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি দিয়ে ব্যবসায়িক সমস্যা সমাধান, নতুন পণ্য উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তাদের জন্য খরচ কমিয়ে এনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, স্টার্টআপগুলো এখন আর শুধু পুঁজি দিয়ে গড়ে ওঠে না, বরং আইডিয়া, ডেটা ও প্রযুক্তির শক্তি দিয়ে গড়ে ওঠে। জেনারেটিভ এআই উদ্যোক্তাদের সেই শক্তি দিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে স্মার্ট কাস্টমার সার্ভিস, কনটেন্ট জেনারেশন, মার্কেট অ্যানালাইসিস, প্রোডাক্ট ডিজাইনিং, এমনকি প্রটোটাইপিংও করা সম্ভব দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক টুটন চন্দ্র মল্লিক বলেন, বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং প্রযুক্তির কেন্দ্রবিন্দুতে এখন রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আমাদের ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীদের উচিত এই নতুন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শুধু চাকরির জন্য প্রস্তুত হওয়া নয়, বরং উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা। জেনারেটিভ এআই আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে।
সেমিনারে অন্যান্য বক্তারা জেনারেটিভ এআই-এর বাস্তব প্রয়োগ, বিশ্বব্যাপী স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে এর অবদান এবং শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হওয়ার প্রস্তুতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সেশনটি ছিল অত্যন্ত ইন্টার্যাকটিভ, যেখানে শিক্ষার্থীরা সরাসরি প্রশ্ন করে উত্তর পাওয়ার সুযোগ পান।
উল্লেখ্য, সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক।