প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের উদ্যোগে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে ‘বীট প্লাস্টিক পলিউশন’ থিমকে কেন্দ্র করে এক বিশেষ সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) সকাল ১১.৩০টায় প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির হাজারী লেইনস্থ ভবনে অনুষ্ঠিত এই সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন অনুষদের অ্যাডজাঙ্কট ডিন প্রফেসর মো. মোরশেদ মাহমুদ খান। স্বাগত বক্তা ছিলেন আইন অনুষদের সহকারী ডিন জনাব তানজিনা আলম চৌধুরী। আইন বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব অনুপ কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কীনোট স্পীকার ছিলেন সহকারী অধ্যাপক জাবেদ আরাফাত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির বলেন, প্লাস্টিক দূষণে বর্তমানে বৈশ্বিক পরিবেশ ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি। সমুদ্র থেকে শুরু করে নদ-নদী, বনভূমি থেকে নগরসভ্যতা—কোথাও প্লাস্টিকের ভয়াল থাবা এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এর প্রতিরোধে সরকার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগ অপরিহার্য। তিনি আরও বলেন, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি পরিবেশ সুরক্ষায় শিক্ষার্থীদের সচেতন ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে সবসময় অঙ্গীকারবদ্ধ। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার টেকসই পদ্ধতি ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্যের দিকে দ্রুত আমাদের ঝুঁকতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তরুণ প্রজন্মকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।
বিশেষ অতিথি প্রফেসর মো. মোরশেদ মাহমুদ খান বলেন, প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সঠিকভাবে আইনের প্রয়োগও অপরিহার্য। আমরা নাগরিকরা যদি নিজেদের অভ্যাস পরিবর্তন না করি, তাহলে কোনো আইনই কার্যকর হবে না।
স্বাগত বক্তব্যে জনাব তানজিনা আলম চৌধুরী বলেন, এই ধরনের সিম্পোজিয়াম শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের প্রতিটি ক্ষুদ্র উদ্যোগও বড় পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে।
কীনোট স্পীকার জাবেদ আরাফাত বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক দূষণ রোধ করা এখন সময়ের দাবি। এ ব্যাপারে বিশ্বনেতৃত্ব সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
সভাপতির বক্তব্যে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব অনুপ কুমার বিশ্বাস বলেন, প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তা বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার।
শেষে প্লাস্টিক দূষণ রোধ ও বৃক্ষরোপণে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে র্যালি বের করা হয় এবং বৃক্ষরোপণ করা হয়। শিক্ষার্থী অধীতি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সিম্পোজিয়ামে আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।