শফিউল আলম, রাউজানঃ হালদা নদীর ভাঙ্গনে রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন,গনিমিয়ার ঘাট, মোকামী পাড়া, উরকিরচর ইউনিয়নের সার্কদা, দেওয়ানজী ঘাট, হার পাড়া, মইশকরম, সওদাগর পাড়া, উরকিরচর, পশ্চিম আবুর খীল, খলিফার ঘোনা, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের মগদাই, ডোমখালী, কাসেম নগর, হোলজার পাড়া, কাগতিয়া, বিনাজুরী ইউনিয়নের পশ্চিম বিনাজুরী, রাউজান পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের অংকুরী ঘোনা, মঘাশ¯াস্ত্র বড়ুয়া পাড়া বদুর ঘোনা, গহিরা ইউনিয়নের কোতোয়ালী ঘোনা, পশ্চিম কোতোয়ালী ঘোনা, কাজী পাড়া, নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের নদীমপুর, তেলপারই, পশ্চিম ফতেহ নগর এলাকায় কয়েক শতাধিক পরিবারের বসতঘর, ফসলী জমি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে । রাউজানের গহিরা ইউনিয়নের পশ্চিম কোতোয়ালী ঘোনা এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী প্রকাশ মাঝের বাড়ীর শতাধিক পরিবারের বসতঘর রাউজান অংশ থেকে বিচ্ছিন হয়ে হাটহাজারী উপজেলার ছিপাতলির সাথে সংযুক্ত হয়ে পড়েছে । উরকির চর ইউনিয়নের সার্কদা মৌজার পুরো অংশ হালদা নদীতে বিলিন হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর মোহরা ও হাটহাজারীর সাথে চর জেগে উঠেছে । হালদা ভাঙ্গনে বসতবাড়ী হারানো অনেক পরিবার বাপদাদার বসতভিটা হারিয়ে রাউজান ও হাটহাজারীর বিভিন্ন এলাকায় জমি ক্রয় করে নতুন করে বসতঘর করে তুলেছে । হালদা নদীর ভাঙ্গনে বসতভিটা হারানো পরিবারের মধ্যে যাদের আর্থিক সংকট রয়েছে তারা বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে জাজাবরের মতো জীবন যাপন করছে । আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে হালদা নদীর ভাঙ্গরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাধ নির্মান করলে ও অধিকাংশ হাটহাজারী ও নগরীর মোহরা এলাকায় । রাউজানের কিছু অংশে বাধ নির্মান করা হলে ও অধিকাংশ নদীর ভাঙ্গন এলাকায় বাধ নির্মান করা হয়নি । হাটহাজারী অংশের ভাঙ্গন কবলিত মানুষকে সুরক্ষা দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পে পাথর ব্লক। নদীর ভাঙ্গন রোধে নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে দীর্ঘ বেরি বাঁধ।সেই হিসাবে রাউজানের নদীর পাড়ে বসবাসকারীদের সুরক্ষায় তেমন কোনো বড়সর উদ্যোগ বা কাজ হয়নি। হালদা ভাঙনে চরম হুমকিতে রয়েছে নদিমপুর ইন্দিরাঘাট বাজারসহ নদিমপুর গ্রামের কয়েক’ পরিবারের বসতবাড়ী। হালদা নদী ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। রোববার দুপুরে নদিমপুর গ্রামের শতাধিক লোকজন এই ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান। স্থানীয় এনামুল হক বলেন, হালদা ভাঙনে আমার এক একর জমি বিলীন হয়ে গেছে। শেষ অল্প কিছু জমি রয়েছে, সেগুলো যদি নদীর পেটে চলে যায়, আমরা আর কিছু থাকবে না। নদিমপুর ইন্দিরাঘাট বাজার থেকে তৈলপালি খালের ব্রিজ পর্যন্ত হালদা পাড়ে দেড় কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা না হলে শীঘ্রই নদিমপুর আশেপাশের এলাকা মানচিত্র থেকে মুছে যাবে। নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে গ্রামটি। অবিলম্বে হালদা নদীর ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তাঁরা। অপরদিকে নোয়াজিষপুর অংশে সর্তা খাল ভাঙনে হুমকিতে রয়েছে নোয়াজিষপুর নতুন হাট বাজার থেকে চিকদাইর ইউনিয়নের হক বাজার পর্যন্ত। এই ভাঙন রোধে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বর্ষা ও পাহাড়ি ঢল আসলে সর্তা খাল ভাঙনে অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষের বাড়িঘর, ফসলি জমি ও সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। গত ৪ জুলাই শুক্রবার বিকালে রাউজানের নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের নদীম পুর হালাদা পাড়ে হালদা নদীর ভাঙ্গনে বসতভিটা ফসলী জমি হারানো পরিবারের সদস্যরা হালদা নদীর ভাঙ্গনরোধ বাধ নির্মানের দাবীতে গণসমাবেশ করেন।গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী বেলাল উদ্দিন । ফজল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত গণসমাবেশে সমাবেশে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন ।
গণসমাবেশে বক্তারা জরুরি ভিত্তিত্বে হালদা নদীর ভাঙ্গনরোধে বাধ নির্মান করে ভাঙ্গন থেকে বসতঘর ফসলী জমি রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানান। হাটহাজারী অংশের ভাঙ্গন কবলিত মানুষকে সুরক্ষা দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পে পাথর ব্লক। নদীর ভাঙ্গন রোধে নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে দীর্ঘ বেড়ি বাঁধ।সেই হিসাবে রাউজানের নদীর পাড়ে বসবাসকারীদের সুরক্ষায় তেমন কোনো বড়সর উদ্যোগ বা কাজ হয়নি। হালদা ভাঙনে চরম হুমকিতে রয়েছে নদিমপুর ইন্দিরাঘাট বাজারসহ নদিমপুর গ্রামের কয়েক’ পরিবারের বসতবাড়ী। হালদা নদী ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। রোববার দুপুরে নদিমপুর গ্রামের শতাধিক লোকজন এই ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান। স্থানীয় এনামুল হক বলেন, হালদা ভাঙনে আমার এক একর জমি বিলীন হয়ে গেছে। শেষ অল্প কিছু জমি রয়েছে, সেগুলো যদি নদীর পেটে চলে যায়, আমরা আর কিছু থাকবে না। গত ৬ জুলাই রোববার দুপুরে হালদা ও সর্তার ভাঙনে নোয়াজিষপুর, নদিমপুরের বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনে আসেন চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফ উদ্দিন।
