খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভুয়াছড়ি এলাকায় ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি আমিনুল ইসলাম প্রকাশ আমিনকে (১৯) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই বছরের জেল দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় অপর দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে খাগড়াছড়ি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক আজিজুল হক প্রধান আসামির অনুপস্থিতে এ রায় প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১০ জুন বাড়ির পাশে বেঁধে রাখা ছাগল আনতে গেলে প্রধান আসামি আমিনুল জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী কলাবাগানে নিয়ে গিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পরদিন ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে আমিনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপর দুইজনকে সহায়তার অভিযোগে খাগড়াছড়ি থানায় মামলা করেন। থানা পুলিশ মামলা তদন্ত শেষে একই বছরের ১৯ আগস্ট চার্জশিট দাখিল করেন। প্রধান আসামির দোষ স্বীকারসহ ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেন বিচারক।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, মামলা দায়েরের সময় মাইনর হিসেবে আসামির বিরুদ্ধে মামলা রুজু হলেও সাজার ক্ষেত্রে তা বিবেচনা করা হয়নি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পিপি অ্যাডভোকেট সৃজনী ত্রিপুরা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি সব সময় সোচ্ছার থাকবেন।