রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবিপ্রবি) জুলাই বিপ্লবের স্মরণে র্যালি ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের জন্য রাষ্ট্রকে সর্ব্বোচ্চ সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বেলা আড়াইটায় আয়োজিত র্যালি প্রশাসনিক ভবন-১ থেকে স্মৃতিস্তম্ভ হয়ে ঘুরে প্রশাসনিক ভবনে এসে শেষ হয়।
রাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলরের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা এ র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান বলেন, ‘জুলাই গণ-অভূত্থানে ছাত্র জনতার যে রক্তদান এবং অসংখ্যজনের পঙ্গুত্ব বরণের মধ্য দিয়ে যে নতুন দেশ পেলাম, আমরা এর মধ্যে দিয়ে নিজেরা সংশোধিত হতে চাই। ৫৫ বছর বাংলাদেশে যা হয়নি, এদেশের প্রতিটি মানুষ যেন তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে তাদের কথা বলতে পারেন। সেরকম পরিবেশ যেনো আমরা তৈরি করতে পারি। আমরা যেন দুর্নীতিমুক্ত বৈষম্যহীন একটি দেশ গড়ে তুলতে পারি সে লক্ষ্যে দেশের ছাত্রসমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’
এ সময় ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষক নিয়োগের স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন এবং দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জট নিরসনের আশা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া গুণগত শিক্ষা প্রদানের মধ্যে দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের সম্প্রীতি ও উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং জুলাই গণ-অভূত্থানে শহিদ পরিবার ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের জন্য রাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আহ্বান জানান। পরে জুলাই বিপ্লবে শহিদ ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের জন্য দোয়া করেন।
র্যালি ও দোয়া শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ ও মেরিন রিসোর্সেস টেকনোলজি বিভাগের প্রিন্টেড কারিকুলামের মোড়ক উন্মোচন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান। এ সময় সব বিভাগের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।