কক্সবাজার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে ভারী বর্ষণে এ পর্যন্ত অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হলেও সোমবার (৭ জুলাই) সকাল থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা দেখা যায়, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কম-বেশি নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। অনেক পরিবার এখনো পর্যন্ত চুলোয় আগুন জ্বালাতে পারেনি।
টেকনাফ পৌরসভার কলেজ পাড়ার অধিকাংশ বসতবাড়ি, শীলবনিয়া পাড়া, ডেইলপাড়া, জালিয়াপাড়া, অলিয়াবাদ, খানকারডেইল, চৌধুরীপাড়া, কেকে পাড়ার একাংশ পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া টেকনাফ সরকারি কলেজ, আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পুরো প্রাঙ্গণ পানিতে একাকার।হ্নীলা ইউনিয়নের রঙিখালী, ওয়াব্রাং, মৌলভীবাজার, ফুলের ডেল হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাং খালী, লম্বা বিল,কানজর পাড়া, মিনা বাজার সরকারি ঘর বাড়ি ওয়াব্রাং সরকারি ঘর বাড়ি
টেকনাফ হ্নীলা ১নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য বশির আহত বলেন, ভারী বৃষ্টিতে অনেক বাড়িঘরে পানি ঢুকে বাসের অযোগ্য হয়ে গেছে। জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। মূলত কিছু দুষ্কৃতকারী কর্তৃক খাল দখলের পাশাপাশি ড্রেন পরিষ্কার না থাকায় এসব এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, এভাবে একটানা বৃষ্টি খুব কম সময়ে দেখা গেছে। চারদিকে পানিতে থৈ থৈ করছে। বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। খাওয়া-দাওয়া, ঘুমের কষ্ট তো আছেই, প্রাকৃতিক কার্য সম্পাদন করতে চরম বেগ পেতে হচ্ছে। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জনজীবন অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছে।
সাবরাং ইউনিয়নের কুরাবুইজ্জা পাড়া, ফতেহলিয়া পাড়া, মুন্ডার ডেইল, চান্দলী পাড়ার একাংশ, হাদুর ছড়া, খুরের মুখের অধিকাংশ বসতবাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। এছাড়া ওই ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মাঝের পাড়া, হাজীর পাড়া ও দক্ষিণ পাড়ার দেড় শতাধিক পরিবার; উত্তর পাড়ার মাঝের ডেইল, ডাঙ্গর পাড়ার পূর্ব পাশ, কোনার পাড়ার পশ্চিম পাশের শতাধিক পরিবার; ক্যাম্প পাড়া, বাজার পাড়ার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি সময় পার করছেন। সর্বোপরি এ ইউনিয়নে প্রায় ৫০০ পরিবার পানিবন্দী রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসান উদ্দিন জানান, টানা বৃষ্টির প্রভাবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে পানিবন্দী পরিবারগুলোর নিকট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে মাইকিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি পৌরসভার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের মাঝে তিনবেলা খাবার প্রদান করা হচ্ছে।