শামশুদ্দীন, টেকনাফ: কক্সবাজারের টেকনাফে নিখোঁজ হুজাইফা নুসরাত আফসি (৪) অবশেষে ২৪ ঘন্টা পর মৃত অবস্থায় উদ্ধার। সোমবার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় পুকুরে ভাসমান অবস্থায় আফসি’র মৃত দেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে।
রবিবার (৪) অক্টোবর দুপুরে বাড়ির উঠানে খেলার সময় নিখোঁজ হয় আফসি । সে কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা হোয়াকিয়া গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ বাঁধনের কন্যা।এঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত রবিবার নিজ বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। একপর্যায়ে শিশু আফসি’কে দেখতে না পায়ে আত্মীয় স্বজনসহ সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে পাশ্ববর্তী দিলদার আহমদ মেম্বারের একটি পুকুর ছিল। ওই পুকুরেও ১০-১২ টি জাল দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা খুঁজতে থাকেন। কিন্তু কোন হদিস মেলেনি। অবশেষে ২৪ ঘন্টার পর ওই পুকুরে সোমবার দুপুরে শিশু আফসি’র মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন। উদ্ধার সময়ে শিশুর মৃতদেহটি নরম ছিল। কানের দুল দুটি নেই, মুখে কস্টেপের (প্লাস্টার) দাগ রয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা বলেন, এ শিশুটিকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। অথবা কানের দুল ছিনিয়ে নিতে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। সম্ভবত দুল ছিনিয়ে নেওয়াদের চিনতে পারায় তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।এমন নিষ্পাপ শিশু কন্যাকে হত্যা করায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহের সুরতহাল তৈরি করে কক্সবাজার মর্গে প্রেরন করেছেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয় জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। এসময় এলাকাবাসীর রোষানল থেকে আটককৃতদের বাঁচাতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও নিয়োজিত ছিল।তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না কে বা কারা কেনই বা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুজায়েদ মোঃ নাজমুন নুর জানান, ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখজনক। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুর মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করেন।