চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২০ জন আহত। তাদের পটিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১ জুন) রাত ৯টার দিকে পটিয়া থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা পটিয়ার ওয়াপদা রোড এলাকা থেকে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দীপংকর তালুকদারকে ধরে পুলিশে দিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের দাবি, ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় সোপর্দ করতে গেলে ওসি তাকে গ্রেফতার করতে অনীহা প্রকাশ করে। পরে ছাত্রদের ওপর হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও আন্দোলনকারী পক্ষের সূত্রে জানা গেছে, রাত নয়টার দিকে পটিয়ার ওয়াপদা রোড এলাকা রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দীপংকর তালুকদারকে ধরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা থানায় নিয়ে যান। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে চায়নি। এ নিয়ে আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয় এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি পটিয়ায় ঘটনাস্থলে গেছি। আমাদের কর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। আহত অনেককে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। আমার ওপরও হামলা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে জানতে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূরকে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি।
পটিয়া সার্কেলের এএসপি আরিফুল ইসলাম বুধবার সকালে বলেন, আমি ঢাকায় আসছি। পটিয়া থানায় কী হয়েছে, পুরো বিষয়টি জানি না। এমনে শুনেছি। এখন পটিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। থানায় গিয়ে পুরো ঘটনা বলতে পারবো।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম শান্তু বলেন, ‘ছাত্রলীগের এক নেতাকে ধরে থানায় নিয়ে গিয়েছিল। তাকে নিতে দেরি হয়েছিল। এরপর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। আমরা বিষয়টিতে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
পটিয়া থানার ওসি আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূরের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এসপি বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা পাইনি।’