মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

মিরসরাইয়ে সোনাপাহাড় হাউজিং এস্টেটে বেড়েছে চুরির ঘটনা

জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মিরসরাই আবাসিক প্লট উন্নয়ন প্রকল্পের জোরারগঞ্জ থানা এলাকায় অবস্থিত সোনাপাহাড় হাউজিং এস্টেটে বেড়েছে চুরির ঘটনা। সম্প্রতি বেশ কয়েকবার এখানে চুরির ঘটনা ঘটেছে।

সর্বশেষ রোববার (৪ মে) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একাধিক বৈদ্যুতিক পিলারের সব তার নিয়ে গেছে চোর। কিছু তার কেটে গুছিয়ে ঝোপঝাড়ের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছে। ঘটনাস্থলে চুরির কাজে ব্যবহৃত বাশের তৈরি একটি মইও দেখা গেছে।

জানা গেছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সোনাপাহাড় হাউজিং এস্টেটের প্লট ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মোহাম্মদ নুরুল আবছারের নির্মাণ করা ঘর থেকে চুলা, সোলার ব্যাটারি, বেডিং, ডাইনিং টেবিল, চেয়ার, গ্যাস সিলিন্ডার, বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ প্রায় ২ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়া এখানে অবস্থিত মসজিদের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারও চুরি করে নিয়ে যায়। সে ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

সোনাপাহাড় হাউজিং এস্টেটের প্লট ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, পল্ট বরাদ্দ নেয়ার পর এই প্রথম এমন চুরির ঘটনা ঘটেছে। আমার নির্মাণ করা ঘরের দরজা ভেঙে সবকিছু চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। মসজিদের ট্রান্সফরমার চুরি হয়। তখন থানায় অভিযোগ দিয়েছি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখলাম না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। এসব সরকারি সম্পত্তি। সরকারি সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব তাদের।

সোনাপাহাড় হাউজিং এস্টেটের প্লট ওনার নুরুল আনোয়ার রানা জানান, আমি শনিবার সকালে গিয়ে দেখি বৈদ্যুতিক পিলার থেকে তার কেটে নিয়ে গেছে। কিছু তার নিচে পড়ে আছে। যেন তার চুরির হিড়িক পড়েছে এখানে।

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর বারইয়ারহাট জোনাল অফিসের ডিজিএম মোহাম্মদ হেদায়েত উল্যাহর কাছে এসব রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোনাপাহাড় হাউজিং এস্টেটে লাইন নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি)। এখানে আমাদের কোনো লাইন নেই। পল্লী বিদ্যুতের কাছে এটি হ্যান্ডওভার করা হয়নি। তবে সেখানে স্থাপিত মসজিদে শুধু আমাদের সংযোগ ছিল তবে ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ার খবর জেনেছি।

এই বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম উত্তরে দায়িত্বরত পিডিবি প্রকৌশলীর নাম্বারে একাধিকবার কল দিয়েও সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

যোগাযোগ করা হলে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, সরকারি সম্পত্তি চুরি হওয়া দুঃখজনক। চুরির বিষয়ে এর আগেও একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। বৈদ্যুতিক তার চুরির বিষয়ে অবগত ছিলাম না। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।