বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২
বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২

রইস হত্যার প্রতিবাদে বাঁশখালীতে অবরোধ, সংঘর্ষে আহত ২০

গাজীপুরে মাওলানা রইস উদ্দিনকে হত্যার প্রতিবাদে ডাকা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সুন্নী মতাদর্শী বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীদের সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার(৫ মে) সকাল ৯টার দিকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত, ইসলামী ছাত্রসেনা ও ইসলামিক ফ্রন্টের ব্যানারে শতাধিক কর্মী বাঁশখালী উপজেলার গুণাগরী মোড়ে সমবেত হয়ে সড়ক অবরোধ করেন। গাজীপুরে মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন কাদেরীকে হত্যার প্রতিবাদে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে অবরোধকারীদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে গুণাগরী মোড়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি এবং পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে, যা দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে।

এই সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে মাওলানা আবদুর রহিম সিরাজী, ওসমান গণি, তৌহিদ রাকিব, তমিজ উদ্দিন, সৈয়দ আরিফ, মনির কাদেরী, হাবিবুল্লাহ, আজিজ, হানিফ, আবু বক্কর, সোহাইল মাহমুদ, মনির উদ্দিন ও মাওলানা খোরশেদ হাশেমীসহ কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে। তারা বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহতদের একজন মাওলানা আবদুর রহিম সিরাজী অভিযোগ করেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। এই অবস্থায় জামায়াত-শিবিরের ছেলেরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাদেরকে রড দিয়ে পিটিয়েছে।”

অন্যদিকে, আমির হোসেন নামে একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক বলেন, “আমরা তো দিনে এনে দিনে খাই। ওদেরকে বিষয়টি বুঝানোর পরও আমাদের গাড়ি যেতে দিচ্ছিল না। একদিন বসে থাকলে তো আমাদের বউ বাচ্চাদের মুখে আহার জুটবে না। শুধু শুধু রাস্তা অবরোধ করেছে।”

সোমবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁনপুর বাজার, কালীপুর ইউনিয়নের গুণাগরী মোড় এবং রামদাসহাট এলাকায় একযোগে এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়।

অবরোধকারী মাওলানা আবদুর রহমান রজভী বলেন, “একজন আলেমের হত্যার বিচার চেয়ে আমরা সমবেত হয়েছি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই কর্মসূচি পালন করছিলাম।”

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার জানান, পুলিশ কোনো লাঠিচার্জ করেনি। তিনি বলেন, “আন্দোলনকারীরা সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে চলে গেছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবং কাউকে আটকও করা হয়নি।”