শফিউল আলম, রাউজানঃ মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ আসন্ন। আগামী ৭ জুন শনিবার কোরবানি ঈদকে ঘিরে রাউজান উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডেইরি ফার্ম,গরুর খামার, মৌসুমী গরু ব্যবসায়ীরা গরু বিক্রি করা শুরু করেছে। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু ক্রয় করে ট্রাক, জীপ ভর্তি করে এনে বিভিন্ন স্থানে মজুদ করেছে। পিছিয়ে নেই ক্ষুদ্র খামারিরাও।
রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় লালন পালন করা গরু কোরবানীর জন্য বিক্রয় করতে কৃষকরা হাট বাজারে আনতে শুরু করেছে । এছাড়া রাউজানে বিভিন্ন এলাকায় হাট বাজারে কোরবানির পশুর হাট বসতে শুরু করেছে।জানা যায়, এ উপজেলায় স্থায়ীও অস্থায়ী মোট ১৬ হাটে গরু-ছাগল, মহিষ বেচাকেনা হয়। এসব কোরবানির পশুর হাটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গরু বেচাকেনা হয় রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের গফুর আলী বোস্তামী চারাবটতল বাজার, গহিরা কালচান্দ চৌধুরী হাট, রাউজান সদর ফকির হাট, পাহাড়তলী পিংক সিটি, বাগোয়ানের লাম্বুর হাট, খেলার ঘাট, নোয়াপাড়া চৌধুরী হাটে। তবে এসব হাটে পাহাড়ি অঞ্চলের গরু, কৃষকের গৃহপালিত গরু-ছাগলের চাহিদা রয়েছে বেশি। এছাড়া ও রাউজানের ৭নং রাউজান ইউনিয়নের রমজান আলী হাট, নাতোয়ান বাগিচা,কদলপুর ইউনিয়নের সোমবাইজ্যার হাট, ঈশান ভট্টের হাট, হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্তা দরগাহ ছড়ি বাজার, আমির হাট, বইজ্যার হাট, ফকির টিলা বাজার, জানিপাথর বাজার, ডাবুয়া ইউনিয়নের হিংগলা মুছা শাহ বাজার, নোয়জিশপুর ইউনিয়নের নতুন হাট, ফতেহ নগর বাশডুয়া তল বাজার, ইন্দিরা ঘাট, রাউজান পৌরসভার জানালী হাট, পাহাড়তলী ইউনিয়নের গৌরি শংকর হাট, বাগোয়ান ইউনিয়নের গশ্চি নয়া হাট, খেলার ঘাট বাজার, নোয়পাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন মিয়া আলী চৌধুরী হাট, উরকিরচর ইউনিয়নের মদুনাঘাট জিয়া বাজার, আলামিয়া হাট, কেরানী হাট, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের মগদাই পিকে সেন হাট, রঘুনন্দন চৌধুরী হাট, কাগতিয়া হাট, আগামী ঈদুল আজহা কোরবানী উপলক্ষে রাউজানের বিভিন্ন স্পটে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা গরু, মহিষ পাহাড়ী এলাকা ও চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রয় করে ট্রাক ভর্তি করে এনে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় হাট বাজার সড়কের পাশে বাড়ীর আঙ্গিনায় তেরপাল টাঙ্গিয়ে মজুদ করছেন ।
এছাড়া ও গৃহপালিত গরু ছাগল কোরবানির জন্য বিক্রয় করবে এলাকার বাসিন্দারা। রাউজানে এবার কোরবানীর পশুর চাহিদা রয়েছে ৩৭ হাজার ৩শত ২ পশু রাউজানে ছোট-বড় সাড়ে চারশত ডেইরি ফার্মে প্রায় ৩৫ হাজার ৭শত ৩টি গরু, ছাগল, মহিষ প্রস্তুত করেছে খামারিরা। পাশাপাশি কৃষকরাও নিজেদের গৃহে গরু-ছাগল মোটাতাজা করে রেখেছেন। রাউজানের রমজান আলী হাট বাজারে পুর্ব রাউজান এলাকার বাসিন্দ্বা মোহাম্মদ নুর নবী তার ঘরে পালন করা দুটি ষাড়, ২টি গাভী গরু বিক্রয় করতে আনে । নুরনবী বলেন, দুটি ষাড় তিন লাখ টাকা দাম দিয়েছেন কয়েকজন ক্রেতা এসে দুটি ষাড় ২লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করতে ছেয়েছে । রাউজান উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার জয়িতা বসু বলেন,রাউজানে এবার কোরবানীর পশুর চাহিদা রয়েছে ৩৭ হাজার ৩শত ২টি ।
রাউজানে ছোট বড় ৪শত ডেইরি ফার্মে লালন পালন করা গরু কোরবানির জন্য বিক্রয় করার জন্য প্রস্তুত করেছে খামারীরা৩৫ হাজার ৭শত ৩টি । তার মধ্যে রয়েছে গরু ২৪ হজার ৭শত ৮৮টি।মহিষ ২হাজার ৭শত ৭০টি। ছাগল ৬ হাজার ৪শত ২৪। ভেড়া ১ হাজার ৭শত ১১ টি। ।চাহিদার মধ্যে ঘাটতি রয়েছে ১ হাজার ৫শত ৯৯টি পশু। রাউজান উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার জয়িতা বসু আরো বলেন, কোরবানীর পশুর হাটে ভেটেনারী টিম সার্বক্ষনিক কাজ করছে ।রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, রাউজানে কোরবানির পশুর হাট গুলোতে ক্রেতারা এসে নিরাপদে কোরবানির পশু ক্রয় করার জন্য পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।