মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

‘শিশুশ্রম বন্ধ ও নিরসনে সরকারি-বেসরকারিভাবে যৌথ উদ্যোগের প্রয়োজন’

কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘শিশু শ্রম বন্ধে আমরা কি করতে পারি’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাদিমুড়া ২৭ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্যাাম্প ইনচার্জ খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান। এসময় তিনি বলেন- শিশুশ্রম বন্ধে অভিভাবকদের সচেতনতার পাশাপাশি যারা শিশু শ্রমে উৎসাহিত করায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তাই শিশু শ্রম বন্ধ করতে হলে, দারিদ্র্য নিরসন, শিক্ষার প্রসার, সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং শিশুদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

বুধবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টায় জাদিমুড়া ২৭ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ক্যাাম্প ইনচার্জ কার্যালয়ে এনজিও সংস্থা অগ্রযাত্রা’র উদ্যোগে প্রকল্প ব্যবস্থাপক আবু ওসমানের সভাপতিত্বে এসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়াও সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিল্প কারখানাতেই শিশু শ্রমিক খুঁজে পাওয়া যায়। মূলত পেটের দায়ে এই শিশুরা কাজ করতে বাধ্য হয়। দরিদ্রের কারণে মা-বাবাও এ ক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে শিশুশ্রম বন্ধের একমাত্র উপায় হলো দারিদ্র্য নিরসন। শিশুশ্রম বন্ধ ও নিরসনে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে যৌথ উদ্যোগের প্রয়োজন। এজন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা এবং তার বাস্তবায়ন করা সরকারের উচিত। শুধু আইন প্রনয়নে শিশুশ্রম বন্ধ করা যাবেনা। তার জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু নীতিমালা ও বাস্তবায়ন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন হোস্ট ও রোহিঙ্গা কমিউনিটি লিডার, ব্যবসায়ী, পরিবহন ও কৃষি খাতের প্রতিনিধি, বাজার কমিটির সদস্য এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, এনজিও সংস্থা টিডিএইচ/বিপিআরএম-এর সহায়তায় পরিচালিত কল্যাণ প্রকল্পের আওতায় এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।