সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার পরিসমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে আজ। বিজয়া দশমীর পবিত্র তিথিতে দেবীকে বিদায় জানানোর ক্ষণ ঘনিয়ে আসছে। পূজামণ্ডপগুলোতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছেন ভক্তরা। একে অপরের মুখে সিঁদুর মেখে উল্লাসে মাতেন সনাতনীরা। দুর্গোৎসবের আনন্দ ছুঁয়ে গেছে অভিনেত্রী পূজা চেরীকে।
বিজয়া দশমীর দিন দেবী দূর্গার কাছে নিজের মায়ের আত্মার শান্তি কামান করেছেন পূজা। মণ্ডপে সিঁদুর খেলতে এসে সাংবাদিকদের মুখমুখি হন অভিনেত্রী। এ সময় তিনি বলেন,“আমার যে গর্ভধারিনী মা মারা গেছেন সে যেন ভালো থাকেন। যেখানেই থাকেন যেন ভালো থাকেন এটাই চেয়েছি এবং দূর্গা মাকে বলেছি ‘তুমি যেন ভালো থেকো’। কারণ আমরা সবাই চেয়ে বেড়াই কিন্তু মাকে একটু জিজ্ঞেস করি না যে মা তুমি কেমন আছো?”
এবছর ঢাকাতেই পূজা উদযাপন করেছেন। ঘুরে বেড়িয়েছেন বিভিন্ন মণ্ডপ। পূজার কথায়, ‘হিন্দু ধর্ম অবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব হচ্ছে দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজা প্রতিবছরই ভালো লাগে। পূজার দিনগুলোতে বনানীর মণ্ডপসহ আরও অনেক মণ্ডপে যায়। ছোটবেলায় বাড়িতেই পূজা হতো। এখন ব্যস্ততার কারণে বাড়িতে যাওয়া হয় না। তবে ঢাকাতে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ঘুরে উদযাপন করা হয় এবং দুর্গাপূজা সব সময় ভালো লাগে।’
পূজা চেরির অনুরাগীদের মনে দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্ন ছিল কবে বিয়ে করছেন তিনি। অবশেষে নিজের বিয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। বিয়ের প্রশ্নে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এখানে একজন সিদুঁর আমার গালে লাগিয়ে দিচ্ছিল তখন তারা বলল যে ‘প্রার্থনা করি আগামীবার যেন দাদাসহ মণ্ডপে আসতে পারে’। এ কথা বলে একটু হাসি মুখে পূজা বলেন, দেখ যাক কী হয়। চিন্তার বিষয় চিন্তা করে দেখি।”
অভিনেত্রীর একরত্তি বয়সের পূজার কথা টেনে তিনি বলেন, ‘শৈশবের পূজা এবং বড়বেলার পূজার মধ্যে পার্থক্য কিছুই নেই। ছেলেবেলায় পূজা সময় বাড়িতে কাটানো হতো, এখন ঢাকা শহরের বিভিন্ন মণ্ডপে প্রতীমা দেখে কাটানো হয়। এখন সবচেয়ে বড় পারিবর্তনটা হচ্ছে, আমার মা নেই। একা একাই পালন করি এবং আমার সঙ্গে দুইজন বন্ধু আছে। ওরা ঘুরতে নিয়ে যায়।’