সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২

গ্রাম বাংলার চিরচেনা ঐতিহ্য ফেরাতে মিরসরাইয়ে ঘুড়ি উৎসব

গ্রাম বাংলার চিরচেনা ঐতিহ্যের অন্যতম একটি ঘুড়ি। কালের বিবর্তনে এই ঐতিহ্য অনেকটা হারিয়ে গেছে। হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফেরাতে মিরসরাইয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ঘুড়ি উৎসব।

শুক্রবার (২ মে) বিকেলে মিরসরাই ক্যাফের উদ্যোগে ক্যাফে সংলগ্ন ফসলি মাঠে উৎসবে বিভিন্ন ধরনের বাহারি ঘুড়ি নিয়ে অংশ নেন এলাকার শতাধিক মানুষ।

অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের নানা ধরনের চমকপ্রদ ঘুড়ি প্রদর্শনের মাধ্যমে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। উৎসব দেখতে ঢল নামে বিভিন্ন বয়সের শ্রেণিপেশার মানুষের।

প্রদর্শিত ঘুড়ির মধ্যে ছিল- বাক্স ঘুড়ি, হন ঘুড়ি, তেলেঙ্গা, দুয়ারিয়া ঘুড়ি, পঙ্খিরাজ ঘুড়ি, তারা ঘুড়ি, ড্রাগন ঘুড়ি, প্রজাপতি ঘুড়ি ও ঈগল ঘুড়িসহ নানা ধরনের বাহারি ঘুড়ি।

প্রতিযোগিতা শেষে দুটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ উচ্চতা ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন মোহাম্মদ হাসান, সৌন্দর্য বর্ধন ক্যাটাগরিতে বিজয় হোন মোহাম্মদ শেখ জাহেদ চার বক্স ঘুড়ি নিয়ে।

ঘুড়ি উৎসব দেখতে আশা নজরুল গবেষক ডক্টর কামাল উদ্দিন বলেন, ঘুড়ি উৎসব দেখে শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে। বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের জিজ্ঞেস করা হয় ঘুড়ি কোথায় উড়ে, তারা বলবে বইয়ের মধ্যে উড়ে। কারণ পাঠ্যবইয়ে তারা যেটা পড়ে সেটা দেখে তারা পরীক্ষায় লিখে উত্তীর্ণ হয়। বাস্তবে ঘুড়ি উড়া থেকে তারা অনেক দূরে হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান প্রজন্ম মাদক এবং মোবাইলে আসক্ত হয়ে তাদের জীবন নষ্ট করে দিচ্ছে। দীর্ঘ বিরতির পর এগুলো আবারো দেখলাম।

আয়োজক কমিটির অন্যতম মহিবুল আরিফ বলেন, এটা হচ্ছে আমাদের দ্বিতীয় ঘুড়ি উৎসব। এবারের উৎসবে প্রায় শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। গতবারের চেয়ে এবারের আয়োজনে ব্যতিক্রমী কিছু জিনিস রাখা হয়েছে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের মাঝে বাঁশি, চালের করই এবং চালের গুঁড়ার লাউ। এবার প্রায় শতাধিক প্রতিযোগী ঘুড়ি উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতা শেষে সর্বোচ্চ উচ্চতা ক্যাটাগরিতে বিজয়ী এবং সৌন্দর্য বর্ধন ক্যাটাগরিতে দুজনকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া সেরা ১০ জনকে মিরসরাইয়ের লোগো সংবলিত টি-শার্ট বিতরণ করা হয়েছে।