ডাক্তার শাহাদাত, চিনি অনেক আগে থেকেই। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রদল করতেন, কিছুটা অন্তর্মুখী মানুষ। এখন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক। গতকাল তার সাথে কথা হচ্ছিলো। দুপুরে কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় যোগ দিয়ে বিকেলে আবার অংশ নিয়েছেন চট্টগ্রামের সমাবেশে।তার একটা কথা আমার মনে বেশ দাগ কাটল। ”এই দেশে দুই নাম্বারি পথে ক্ষমতায় আসার ইতিহাস আওয়ামী লীগের আছে। আগের কথা বাদ দেন, এই ১/১১-র সময় আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে বলেছে, ক্ষমতা পেলে ১/১১-র সব পাপ মেনে নেবে।” ভেবে দেখলাম, তাই কিন্তু হয়েছে। টেবিলের তলায় ডিল হয়েছে, প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও অনেক চোরের মামলা উঠে গেছে। আর সেই একই লটের মামলায় বেগম খালেদা জিয়া এখনো হাজিরা দেন আদালতে। এই এক মহিলা দেখলাম ছোট্ট এক জীবনে। ভয় দেখিয়ে কিচ্ছু করতে পারবেন না। প্রলোভন দেখিয়ে কিচ্ছু করাতে পারবেন না। ৯০ তে আপসহীন ছিলেন বলেই আওয়ামী লীগের ডিগবাজি সত্বেও এরশাদ টিকতে পারেনি। ১/১১-র ইয়া বড় বড় কুশীলবরা বেগম জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে পারেনি। আর সবচেয়ে বড় কথা, বেগম জিয়া বিদেশে কোন বাড়ি করেননি। এদেশের নেতাদের মধ্যে বিদেশে ছেলেমেয়ে তারাই পাঠায়, বাড়িঘর তারাই বানায়, যাদের যে কোন মুহূর্তে দেশ থেকে পালানোর দরকার হতে পারে। বিষয়টি প্রণিধানযোগ্য। দেশের মাটিতে যাদের বংশধররা বসবাস করেন না, সামনেও করবেন না, তাদের ব্যাপারে হুঁশিয়ার হওয়ার সময় এসে গেছে। এখন পিঠ বাঁচানোর কত নাটক যে দেখবেন, জাস্ট অপেক্ষা। সিনিয়র সাংবাদিক সালেহ বিপ্লবের ১৬/৫/২০১৬ সালে লেখা
